একের পর এক বিয়ে মানেই নতুন নতুন টাকা কামানোর ধান্দা আমাদের দেশের কিছু নারীদের পেশা হয়ে গেছে! হ্যাঁ আপনি ঠিক ধরেছেন। এমনো নারী আছে আমাদের দেশে যারা বিয়ে বসা একটা পেশা বানিয়ে ফেলেছে। এই ঘটনাই তার প্রমান, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আন্ডাচর গ্রামের আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে শিহাব উদ্দীনের সঙ্গে ইসাহাক নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে মেরিনার পরিচয় ঘটে। সে আক্কেলপুর উপজেলার রামশালা গ্রামের মৃত হাতেম আলী সরদারের মেয়ে।মামলার বিবরণে জানা গেছে, তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সম্পর্কের জেরে প্রেমিক শিহাবের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন মেরিনা। পরে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।কিন্তু বিযের পর শিহাব উদ্দীন জানতে পারেন, মেরিনা ইতিপূর্বে আরও ৮ জনকে বিয়ে করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাদের তালাক দিয়েছেন।সে তার ৯ নম্বর স্বামী।গত ৭ মে মেরিনা ঢাকাতে স্বামীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার বোন বেলী সেখানে যান এবং তার মেয়ের চাকরির কথা বলে ধার হিসেবে আরও ২ লাখ টাকা নেন। ওই দিনই মেরিনা ও বেলী জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। তারা যাওয়ার সময় শিহাবের ঘর থেকে মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে যান।
মেরিনা তার বাবার বাড়িতে এসে স্বামী শিহাব উদ্দীনের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।পরে কোনো উপায় না দেখে ৩ জুলাই শিহাব উদ্দীন তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে জানতে পারেন, তার স্ত্রী মেরিনা তার চতুর্থ স্বামী নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুরের রুহুল আমীনের সঙ্গে আবারও সংসার শুরু করেছেন।শিহাব উদ্দীন তাদের প্রতারণা বুঝতে পেরে ধার দেয়া দুই লাখ টাকা ফেরত চান।
এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে মেরিনাসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে বেঁধে রেখে মারধর করে এবং আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করে।পরে শিহাব উদ্দীন কৌশলে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে জয়পুরহাট ‘গ’ অঞ্চল আমলি আদালতে প্রতারক স্ত্রী মেরিনা, তার বড় ভাই মোফা, ভাবি আয়শা, বড় বোন বেলী, ভাগনি জুলেখা ও ভাতিজা বউ পরীসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেরিনার একাধিক মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরহাটের ‘গ’ অঞ্চল আমলি আদালতে মেরিনাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।মামলার বিবরন থেকে জানা যায় এইসব ভয়ংকর সব তথ্য!